Sea Fever 1) Who wrote the poem ‘Sea Fever’? Ans:- John Masefield wrote the poem ’Sea Fever’. 2) What was the favourite place of the poet? Ans:- To see the sea was the favourite place of the poet. 3) What do you mean by steer? Ans:- Steer means to control the direction of movement. 4) What was the colour of mist on the sea’s face? Ans:- The colour of the mist was grey. 5) What thing did not the poet deny? Ans:- The poet can not deny the call of running tide. 6) Write the name of Sea-bird? Ans:- Sea-gull is the name of a sea-bird. 7) Who wants to live a gypsy life? Ans:- The poet wants to become a gypsy life. 8) Write the name of the sea-animal? Ans:- Whale, a name of the sea-animal. 9) What do you mean by whetted knife? Ans:- Whetted knife means sharpened knife. 10) What kind of day does the poet prefer for siling? Ans:- The poet prefers va...
পৃথিবী আবার উঠবে গড়ে
সুজয় মহলী
আমি এসেছি শান্ত ব্যস্ত স্বভাবে , পৃথিবীকে আবার পৃথিবী বানাতে।
শ্রীকৃষ্ণ বানিয়েছে প্রেমের মন্দির , মনের আধাত্মিক প্রেমিক হয়ে।
একালব্য হয়েছি শ্রেষ্ঠ শিষ্য , গুরু দ্রোণাচার্য কে গুরুদক্ষিণা দিয়ে ।
কর্ণ হয়েছে মহান দাতা , নিজের জীবন দান করে।
ভীষ্ম রেখেছে প্রতিজ্ঞা , চলে গেছে ইচ্ছা মৃত্যু নিয়ে।
দ্রৌপদীর অসম্মানে আব কুরুক্ষেত্রে ধর্মের জয় হবে ।
পেনালোপের সতীর্থ , ইথিকা আবার স্বর্গ হবে।
প্রহ্লাদের হরিভক্তি , হিরণ্যকশিপুরের কাল হবে ।
দধীচির নিঃস্বার্থ ত্যাগে , তারকাসুর বধ হবে।
ইভের কথায় করবেনা দ্বিতীয় ভুল , আদম স্বর্গকে নরক বানাতে
হেলেনার রূপে আর পুড়বে না ট্রয় , অখিলেশ থাকবে বসে।
অডিসিয়াস খুলবেনা আর কৌতুহলের ঝোলা , করতে দীর্ঘ সমুদ্র অভিযান ।
প্যান্ডোরা এবার বাক্স পেলে , নতুন করে আনবে না বিপদে প্রাণ
সীতা বসবে পঞ্চবটী বনে , রাবণ পাবেনা সাহস রাম আছে সাথে ।
হেরা ঘুরবে মনের আনন্দে , আইজিয়ন পাবে ভয় আগুনে পুড়বে তাই।
মেডুসার দিকে তাকাবে না কেউ , পাথরের মূর্তি হতে ।
ডাইনা স্নান করবে মনের সুখে , কেউ দেখবেনা পাছে শিকার হতে।
পরস্পাইনের রুপ এবার , যাবে না মিশে অন্ধকারের দেশে ।
বেহুলা নাচবে নটরাজ হয়ে , ইন্দ্রসভা কাঁপিয়ে দিতে।
হিড়িম্বা ভীমের বিরহে , ঘটৎকচ কে তৈরি করবে ।
গান্ধারীর সব শক্তি , পাবে না এবার দূর্যোধনে।
সাগর ভরা নীল জল , হয়নি লাল ম্যাকবেথের পাপে ।
বুর্জোয়ারা পেয়েছে কাছে , রুশোর মতো বন্ধু পাশে ।
বাথসেবার অনেক অপমান , তবু গ্যাব্রিয়েলের মন না রাগে।
সোফিয়া সেই ঘুরে ফিরে , টমের সাথে মন বাধে।
জুলিয়াস সিজার রাখবেনা সাথে ,ব্রুটাস এর মত বন্ধু কাছে।
নেপোলিয়ান এগিয়ে যাবে , অসম্ভবকে সম্ভব করতে।
বীর আলেকজান্ডার উড়াবে জয়পতাকা , পৃথিবী জুড়ে যুবক বয়সে ।
শাহজাহান বানাবে তাজমহল , মমতাজের স্মৃতি নিয়ে।
ক্ষুদিরামের হাসিতে , ফাঁসি হবে কাপুরুষের ।
জিওনার্দো ব্রুনো করবে জয় , সত্যমেব জয়তে ।
প্রীতিলতা রাখবে মান , সূর্যসেনের আত্ম জ্ঞান ।
ডিরোজিও প্রকৃত শিক্ষক হবে , আলোর প্রদীপ জ্বালিয়ে দিতে।
রামমোহন ভাষার বীজ , ছড়িয়ে দেবে চতুর্দিকে।
বিদ্যাসাগর ভাসিয়ে দেবে , ভালোবাসা দানসাগরে।
মাদার টেরিজা দেশ ছেড়ে , বস্তিকে পবিত্র করে।
মহাত্মা গান্ধী গীতা দিয়ে , সকলকে এক করে।
চৈতন্য বাজাবে বাঁশি , জাত-পাতের মাঝে বসে ।
দেবী সারদা হবে মা , সকলকে সন্তান করে ।
রামকৃষ্ণ বেড়াবে ঘুরে, সকলকে মা বলে।
বিবেকানন্দ জাগাবে সবাইকে , আকাশের নিচে বসিয়ে।
যীশু তার নিজের রক্ত দিয়ে , পাপিদের পাপমুক্ত করাবে।
গৌতম বুদ্ধ মানুষের দুঃখের সমাধান খুঁজতে ,অরণ্যে ধ্যান করবে।
লোকনাথের আবির্ভাবে নতুন করে , ঈশ্বর লাভ হবে।
কবীর মুসলমান হয়ে , হিন্দু ঘরে আহার করবে।
মাইকেল এঞ্জেলোর শেষ বিচার হয়েছে, তার হাত কেটে।
গ্যালিলিওর আবিষ্কার শেষ হয়েছে , অন্ধকার জেলে।
লিওনার্দো দা ভিঞ্চি মৃত্যুতে , লাভ হয়েছে অন্যদের ।
রাফায়েলের সৃষ্টি থেমে গেছে , অল্প বয়সে মৃত্যু ঘটে।
কালিদাস না রচিলে , কেমনে অলকাপুরী তৈরি হতো ?
রাধাকৃষ্ণের প্রেমালীলা কে করিতো , যদি জয়দেব না হতো?
অপু দুর্গার মুক্ত জীবন , কে রাখতো মনে বিভূতিভুষণ না বললে ?
একাকী মেয়ের মনে বাজা গান , কে শুনিতো ওয়ার্ডসওয়ার্থ না শোনালে ?
সক্রেটিস জ্ঞানের উজাগর করতে গিয়ে , পরিনামে হেমলক পান করে।
প্লেটো পৃথিবীর রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে, সুখ ভুলে গেছে।
এ্যারিস্টোটল ধন্য হয়েছে , ক্যাথারসিস বলে ।
কনফুসিয়াস বুঝেছিল , শিক্ষার দরকার সকলের আছে।
শিশু থেকে মানুষ হতে গেলে , সংস্কৃত ভাষা জানা চাই।
কৃষকদের নিয়ে বিদ্রোহ চাইলে , মাওসেতুং এর মত মাথা চাই।
দাসরা সবচেয়ে বড় শক্তি , তার জন্য কাল মার্কস ই শেষ উক্তি।
ওয়াশিংটনের মত মানুষ হলে , প্রথমবারেই দাসত্ব মুক্তি।
মনের আবেগ ফুটাতে হলে , ভার্জিনা উলফের মত বুঝতে হবে।
গ্রামের স্বাদ বুঝতে হলে , জীবনানন্দ দাশের দেশে যাবে।
মহাকাব্য বানাতে হলে , বাল্মিকী কে চিনতে হবে।
বাস্তবকে তুলে ধরতে হলে , শরৎচন্দ্রকে পাশে রাখতে হবে।
মাকড়সা পারে জাল বুনতে , চক্রব্যূহে কুরুক্ষেত্রে।
মাছরাঙ্গা ধৈর্য রাখে , কাজের শেষে পরিণতি পেতে।
পিঁপড়ে ব্যস্ত থাকতে জানে , কর্মই ধর্ম জ্ঞান পেতে।
ময়ূর পেখম মেলতে জানে , পৃথিবীতে রঙিন বানাতে।
ভাটিয়ালি গানে মুগ্ধ হতে , বসতে হবে নদীর পাড়ে মাঝরাতে ।
শাল-পিয়ালের গন্ধ পেতে , ঢুকতে হবে বনের মাঝে ।
বৃষ্টির স্বাদ পেতে হলে , ভাসাতে হবে দেহ বৃষ্টি ফোটা জলে।
চোখে আনন্দ দিতে হলে , যেতে হবে কোন পাহাড়ে ঘেরা সবুজ ঘাসের কোলে।
স্ট্যালিনের কড়া শাসনে , এবার মানুষ জাগবে প্রতিবাদে।
ম্যাৎসিনি আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণে , নব্য পৃথিবী তৈরি হবে।
নেতাজির মন্ত্রমুগ্ধ ভারতবাসী আবার স্বাধীন হবে।
সম্রাট অশোক বিশ্বাসের স্তম্ভ দিয়ে , ভুল থেকে ঠিক হবে।
অখন্ড ভারত নির্মাণে , চাণক্য আসছে ছুটে তীব্র বেগে।
চন্দ্রগুপ্ত একাই একশো , গুরুর মত গুরু পেলে।
সি ওয়া্ং শত্রুদের মাঝে , আবার বিশাল পাঁচিল দেবে।
রবিনহুড ধনীদের লুটে , গরিব বাঁচাবে জীবন দিয়ে।
হতেই হবে আর্কিমিডিসের মত , ইউরেকা বলে আনন্দ পেতে।
হতে হবে চরকের মতো , আয়ুর্বেদ জানতে হলে।
হতে হবে টমাস মোর এর মত , ইউটোপিয়া তৈরি করতে ।
হতে হবে শ্রবণ কুমার , পিতা-মাতার দায়িত্ব নেওয়ার কাজে।
সমাজ কে ব্যঙ্গ করতে , জোনাথন সুইফট যথেষ্ট হবে।
সমাজের ভুল ধরাতে , বার্নাড শ কাজে লাগবে।
কল্পনার প্রকৃতিতে ঢুকতে হলে , জন কিটসের স্বপ্নে যাবে।
ভালোবাসাকে বিজয় করতে হলে , শেক্সপিয়ার সঙ্গে রবে।
পৃথিবীতে যা ভালো আছে , তাহার শেষ হবেনা যে।
চোখের স্বাদ মিটে গেলে , মনের স্বাদ বুঝতে পাবে ।
প্রকৃতিতে যাহা আছে , তাহা নিয়ে সমাজ অনুকরণ।
বুদ্ধির থেকে মন বড় , প্রকৃতি থেকে সমাজ ছোট।
এখানেই আমার স্বপ্ন পূরণ , পৃথিবী আবার নেবে ধরণ।
সমাপ্ত
Comments
Post a Comment